বর্তমানে ধর্ষণ নিয়ে মুখরিত চারিদিক, নানা কথা হচ্ছে,কারণ খেঁাজার চেষ্টা হচ্ছে,কেনো দিনকে দিন ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
একেক জন বলছেন একেক কথা,একই ঘটনার ময়নাতদন্ত হচ্ছে নানা ভাবে,কেউ বলছেন ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে ধর্ষণ বাড়ছে,কেউ বলছেন নারীদের অশালীন চলাফেরা কারণে,কেউ ধর্ষণ বৃদ্ধির কারন হিসেবে বলছেন আইনের যথাযোগ্য প্রয়োগ না হওয়া, এমন অনেক বিশ্লেষণ সামনে আসছে।
এবিষয়ে আমার খুদ্রমস্তিকে যে চিন্তা গুলো আসে তা হলো, ধর্ষণ আসলে আমাদের বর্তমান সমাজে আলাদা কোনো রোগ নয়,এই রোগ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে,এখন যেটা হচ্ছে তা হলো, পচনক্রিয়ার কারনে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
যেখানে ধর্ষক যখন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক বা আলেম হন তখন কিসের ধর্মীয় শিক্ষার কথা বলবেন? কোন ধর্মের শিক্ষার কথা বলবেন?
যেখানে একজন নারীর পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় স্থল পিতার কোলে ধর্ষণ হয়, সেই সমাজের মানুষদের কিছু বলার নাই, নারী পর্দা করবে কোথায়?
যেখানে শুধুমাত্র কাম চরিতার্থ করার জন্য ২বছরের কন্যা শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়, সে সমাজের কি নাম দেয়া যায় বলুন?
যখন শুনি যৌনবাসনা পুরণের জন্য আদম সন্তান মানুষ কোনো নিরিহ পশু’র উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তখন কি কোনো সরকার বা গোষ্ঠীর দোষ দেবো,আসলে কাউকে একক ভাবে কি দোষ দেওয়া যায়?
উপরোক্ত ঘটনা গুলো গভীর ভাবে ভাবলে আমার শুধু কেবলই মনে হয় আমরা মানব জাতি একখণ্ড গলীত পচা লাশে পরিণত হয়েছি,লাশ থেকে শুধুই পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে, কখনো দুর্নীতির পঁচা গন্ধ, কখনো মাদকের পঁচা গন্ধ, কখনো সন্ত্রাসের পঁচা গন্ধ, কখনো কালো টাকার পঁচা গন্ধ এরকম হাজারও অন্যায় আর অবিচারের পঁচা দুর্গন্ধ।
আমরা নিরীহ নামের নির্বোধ প্রাণীরা যখন কোনো দুর্গন্ধ পাই তখন শুধু নাকে কাপড় চেপে শুধু ছিঃছিঃ করি।