ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলীর প্রেমিকার বাসায় অন্তর (২০) নামের এক প্রেমিক ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে শহরের কাউতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অন্তর জেলা শহরের কাউতলী ডিসি বাংলাে এলাকার কামাল চৌধুরীর ছেলে। এই ঘটনায় প্রেমিকের লাশ নিয়ে হাসপাতালে প্রেমিকা নদী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক নদী সিলেট জেলার সদর উপজেলার শুক্কুর মিয়ার মেয়ে। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতুলীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬মাস আগে নদীর সাথে তার আগের স্বামীর ডিভোর্স হয়। তার তিন সন্তান রয়েছে। তারপর অন্তর চৌধুরীর সঙ্গে নদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ডিভোর্স এর বিষয়টি প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ের পরিবারই জানতো। অন্তর চৌধুরী প্রেমিকার বাসায় থাকতেন ও তার সাথে লিভটোগেদার সম্পর্ক ছিল। এমন কি প্রায়ই প্রেমিকার ঘরে রাত যাপনও করতো। সোমবার (১১জানুয়ারি) রাতে মায়ের সাথে অভিমান করে অন্তর প্রেমিকার বাসায় যায়। সে কক্সবাজার ঘুরতে যাবে বলে প্রেমিকার কাছে টাকা চাই, তা নিয়ে রাতে দুইজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে নদী টাকার জন্য তার চাচার কাছে যায় অন্তরকে বাসায় রেখে৷ বিকেলে বাসায় ফিরে এসে দেখে অন্তরের বাম হাত ব্লেড দিয়ে কাটা ও ফাঁসিতে ঝুলে রইছে অন্তর।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। আমরা প্রেমিকা নদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। এই ঘটনায় এখন’ই কিছু বলা যাচ্ছেনা।