রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্ত্রী। পরে স্বামীকে হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ।
শুক্রবার 22 জানুয়ারী সকালে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহত ওই ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহতের নাম পলান সরকার (৪৫)। তিনি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রীর নাম খোদেজা বেগম (৩৫)
তাদের সঙ্গে থাকা মনোয়ারা নামের এক নারী জানান, জেলার চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার সময় তাকে সঙ্গে নিয়ে যান আহত পলানের স্ত্রী খোদেজা বেগম। সেখানে ভ্যানের ভাড়া দেওয়ার কথা বলে স্বামীকে রেখেই সটকে পড়েন খোদেজা। খবর পেয়ে পলানের পরিবারের লোকজন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত পলান জানিয়েছেন, বাঘা হরিরামপুর গ্রামের ফয়েন উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা বেগমের সঙ্গে ৫ মাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রী আপাতত শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন। মাঝে-মধ্যেই পলান সরকার স্ত্রী খদেজা বেগমকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে আসতেন। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার ভোরেও দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়।
এরপর পলান আবারও ঘুমাতে যান। এই সুযোগে স্ত্রী খদেজা বেগম তার জননাঙ্গ কেটে ফেলেন। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান স্ত্রী খোদেজা ও পাশের বাড়ির মনোয়ারা নামের এক নারী। সেখানে রক্তাত্ত অবস্থায় ফেলে রেখে স্ত্রী পালিয়ে যান।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৌসুমী রহমান বলেন, সকালে গুরুতর অবস্থায় ওই ব্যক্তিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আসা কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।