সরকারী অনুদানে জেনিফার ফেরদৌসের প্রযোজনায় মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনা বেশ গুছিয়েই নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। সিনেমার কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক রোশান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
সিনেমার কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য করেছেন জেনিফার ফেরদৌস। সরকারী অনুদানে নির্মাণ চলতি এই সিনেমার সঙ্গে অভিনয়ে যুক্ত হলেন চিত্রনায়িকা ও রাজনীতিবিদ শাহনূর।
গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর বসিলায় একটি প্রতিবন্ধীদের স্কুলে এই সিনেমার শূটিং হয়। দু’দিনই শাহনূর শূটিং-এ অংশ নেন।
সিনেমাটিতে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে এবং সিনেমাটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে শাহনূর বলেন, ‘শুরুতেই ধন্যবাদ জানাই সিনেমার প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌসকে আমাকে এই সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার জন্য। অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই সিনেমার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে। দু’জনের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি। এটা সত্য যে বছরজুড়েই আমি প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের নিয়ে কিছু কাজ করি। আমার জন্মদিনে, এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে আমি প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের জন্য নিজেই অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করি। আশীর্বাদ সিনেমায় আমি একজন ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। তাও আবার প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের ডাক্তার। যে কারণে চরিত্রটি আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে। আমার মনেই হয়নি যে আমি শূটিং করছিলাম। গল্প যা শুনেছি, তাতে মনে হচ্ছে সিনেমাটি দর্শকের কাছে দারুণ ভাল লাগবে। তাছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান মানিক একজন মেধাবী পরিচালক। তার সিনেমায় মেধার স্বাক্ষর রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তিনি। তাই আমি আশাবাদী সিনেমাটি নিয়ে।
‘আশীর্বাদ’ সিনেমায় শাহনূর ডাক্তার কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিনেমার সুর সঙ্গীত এবং আবহসঙ্গীত পরিচালনায় আছেন ইমন সাহা।সিনেমাটোগ্রাফিতে আছেন মজনু। মেকাপে আছেন সেলিম।
এর আগে শাহনূর কোহিনূর আক্তার সূচন্দার পরিচালনায় অনুদানের সিনেমা ‘হাজার বছর ধরে’ ও ফারুক হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেন। মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় তিনি এর আগে ‘মন ছুঁয়েছে মন’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এদিকে শাহনূর বর্তমানে তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা সৈয়দ মোজাফফর আলী’কে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণের যাবতীয় কাজ নিয়েও ব্যস্ত রয়েছেন।
সুত্রঃ জনকণ্ঠ