ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লকডাউন এর পরিবর্তে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে । ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোর সভাপতিত্বে প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে গত ২৯শে জানুয়ারী শুক্রবার ডিফেন্স কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক হয় ।
ফ্রান্সে করোনার নতুন জাত বৃটিশ ব্যারিয়ান্ট ও আফ্রিকান ব্যারিয়ান্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে । গত বুধবার ডিফেন্স কাউন্সিল বৈঠকে ফ্রান্সে তৃতীয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত হলেও ২৯শে জানুয়ারী শুক্রবারের বৈঠকে আপাতত লকডাউন দেয়া হয়নি ।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনার সার্বিক চিত্র আরো পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত হয় । এতে নতুন বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । আগামী ৩১শে জানুয়ারী রাত থেকে ফ্রান্সের সকল বর্ডারগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে ।
বাংলাদেশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর নাগরিকরা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফ্রান্সে প্রবেশ করতে পারবেনা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর নাগরিকরা ফ্রান্স প্রবাসীদের প্রবেশ করতে হলে করোনার নেগেটিভ টেস্ট সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। এবং PCR টেস্ট বাধ্যতামূলক ।
১ ফেব্রুয়ারী সোমবার থেকে ফ্রান্সে যেসকল শপিংমল মার্কেট, দোকানপাট ২০ হাজার বর্গমিটারের বেশি আয়তনের সেগুলো পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে । ফ্রান্সে করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ফ্রান্স সরকারের এই নিয়মগুলো বাধ্যতামূলক ।
তবে স্কুল খোলা থাকবে । ফ্রান্স প্রধানমন্ত্রী জিন কাসটেক্স ২৯শে জানুয়ারী শুক্রবারের বক্তব্যে আরো বলেন প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনায় যখন যে সিদ্ধান্ত নিতে হয় ফ্রান্স সরকার তখন সে সিদ্ধান্তই নিবে ।
ফ্রান্সে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫ হাজার ৬২০ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধিন আছেন মোট ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯৩ জন। তাদের মধ্যে গুরুত্বর অসুস্থ আছেন ৩ হাজার ১৩০ জন ।