পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার দুই নম্বর আলীপুরা ইউনিয়ন পরিষদের আগের দুই নির্বাচনে সদস্য পদের ভোটে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা যুবলীগ নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম এবারের ভোটার তালিকায় মৃত।
তিনি ইউপি সদস্য পদের মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। নজরুল ইসলাম আলীপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জুলফিকার আলী মৃধার ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ দিন আলীপুরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও আগের দুই নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে অংশগ্রহণকারী নজরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র ক্রয় করার জন্য নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ভোটার তালিকায় তিনি মৃত।
এ সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, ভোটার তালিকায় তিনি মৃত তাই তার কাছে সাধারণ সদস্য পদের ফরম বিক্রি করা হবে না।
বিষয়টি নিয়ে মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, বিগত দুটি নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। এবারের নির্বাচনে আমি শতভাগ বিজয়ী হতে পারতাম। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ভোটার তালিকায় মৃত করে রাখা হয়েছে।
২০১৫ সালে হালনাগাদ ভোটার তালিকা জরিপকারী পশ্চিম খলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আলম জানান, এসব ব্যাপারে আমি জানি না কিছু। অন্য জরিপকারী রমানাথসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সোলায়মান জানান, আমি হালনাগাদ ভোটার তালিকায় মো. নজরুল ইসলামকে মৃত দেখাইনি এটা কীভাবে হলো আমি জানি না।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্বে থাকা শনাক্তকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য আলেপ খান জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকার ব্যাপারে কিছুই জানি না এবং ওই কাগজে কোনো স্বাক্ষর করিনি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, মোঃ নজরুল ইসলাম সদস্য পদের ফরম নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় তাকে ফরম দেয়া হয়নি। তিনি আরো জানান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।