বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাগমারাবাসীর সেবা করে যেতে চাই-এমপি আবুল কালাম আজাদ প্রচন্ড দাবদাহে পথচারী ও শ্রমজীবীদের মধ্যে হাতীবান্ধায় শরবত বিতরণ কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছালাম মৃধার উঠান বৈঠকে জনতার ঢল নিজেই এখন গরম ও লোডশেডিং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুঃখ প্রকাশ,দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের মে দিবসের প্রস্তুতি সভা মাদক অপরাধ করতে উৎসাহিত করে : রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর আদালতের নির্দেশে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তি মহাস্থান জাদুঘরে হস্তান্তর লিগ্যাল এইড’র পক্ষ থেকে রাসিক মেয়রকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

গলাচিপায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে গভীর নলকূপের অভাবে ভক্তদের ভোগান্তি

পটুয়াখালীর গলাচিপায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে গভীর নলকূপের অভাবে ভক্তদের ভোগান্তি বাধ্য হয়ে পুকুরের অস্বাস্থ্যকর পানি খাচ্ছে ভক্তবৃন্দ ও পূন্যার্থীরা।

জানা যায়,উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাবুনিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটিতে প্রতি বছর চৈত্র মাসের ৭ তারিখে ৩ দিন ব্যাপী বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে হাজার হাজার ভক্তদের আগমন ঘটে। ১৪২১ বাংলা সনে স্থাপিত হলেও এখানো কোন সরকারি অনুদানের ছোঁয়া লাগেনি মন্দিরটিতে।এমনকি আগত ভক্তবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষ পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সবাই।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরের ভক্ত পলাশ হাওলাদার, কমল সরকার, মিনতী রানী, জয়দেব সাধু এরা জানান, আমাদের এ মন্দিরটিতে প্রতি বছর বাৎসরিক অনুষ্ঠানে অনেক ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু মন্দিরে কোন টিউবওয়েল না থাকায় আমরা পুকুরের জলে ফিটকিরি দিয়ে ও ফুঁটিয়ে পান করি।এতে প্রায় সময়ই আমাদের পেটের পীড়া দেখা দেয়।অনেকের মাঝে আবার ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। তাই সরকারিভাবে আমাদের জন্য নিরাপদ জলের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে রেহাই পেতাম।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরের পুরোহিত দেবলা সুন্দরী জানান,আমি এই মন্দিরে প্রতিদিন তিন বেলা পূজা অর্চনা করি। প্রতি বছর মন্দিরে অনেক ভক্ত সমাগম হয়। এখানে প্রসাদের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে এখানে কোন গভীর নলকূপ নেই। সরকারিভাবে আমরা এখানে একটা টিউবওয়েল চাই।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র চন্দ্র হাওলাদার জানান,মন্দিরটি প্রায় ৮ বছর আগে স্থাপিত হয়েছে। সরকারি কোন অনুদান আমরা পাইনি। নিজস্ব অর্থায়নে কোন রকম চলে মন্দিরের কাজ।বাৎসরিক ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান হয়। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তদের আগমন হয় এখানে। আমাদের এ মন্দিরে কোন টিউবওয়েল না থাকায় অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। অনেক সময় দূরত্বের কারণে পুকুরের জল পান করে অনেকে।এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে এই মন্দিরে টিউবওয়েল পেতে পারি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর খান বলেন,আসলেই মন্দিরটি একটি জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে অবস্থিত।একটি টিউবওয়েল হলে মন্দিরটি পূর্ণতা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান,বিষয়টি আমি শুনেছি।এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + six =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x