পটুয়াখালীর দুমকিতে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগম কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মিথ্যে চাঁদাদাবি মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স অভিযোগ করেন, ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগমের ছেলে আবু নাসের মো: সফিউল্লার নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭/৮ক্যাডার গতবছরের ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্তরে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা ছাত্রলীগের আরও একাধিক সহকর্মীকেও মারধর করে। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এঘটনায় আমার আহত সহকর্মী রাব্বিকুল ইসলাম বাদি হয়ে অভিযুক্ত আবু নাসের মো: সফিউল্লাহ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দুমকি থানার মামলা নং-০১, তাং ৩০/১২/২২।
এমামলার দায় এড়াতে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই মামলার প্রধান আসামী আবু নাসের মো: সফিউল্লার মা নাসিমা বেগম গত ১৫জানুয়ারি আমাকেসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যে চাঁদা দাবির সাজানো সিআর মামলা নং ০৪/২৩ মামলাটি দায়ের করেছেন।যার আদৌ কোন সত্যতা নেই।
এমন অসত্য, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক সাজানো মামলা দিয়ে আ’লীগ ও ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও অভিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ শিকদারসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।