কয়েক দিন ধরে লক্ষ করছি,যেকোন একটি আলোচিত ঘটনা ঘটলেই খুন হোক বা ধর্ষণ হোক
ওই একই সংবাদ হুবহু কপি পোস্ট করে কেউ ফেসবুকে স্টাফ রিপোর্টার লিখছে কেউ বা স্থানীয় প্রতিনিধি।
হাতে একটা মোবাইল আর কপি পোস্ট জানলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না।আপনি অন্যের লেখা সংবাদ কপি করার আগে কি তার কাছে থেকে অনুমতি নিয়েছেন?
ক্রাইম সংবাদ কপি করার আগে অর্থাৎ ফেসবুকে যখন পোস্ট করে পাশে আপনার নাম লিখবেন তখনকি ওই ক্রাইম সংবাদ নিশ্চিত করতে পুলিশের বক্তব্য নিয়েছেন?
নির্বোধ এতটা হওয়া ঠিক নয়।আগে সংবাদের নীতিমালা সম্পর্কে জানুন বুঝেন।এক লাইন লিখতে ১০ লাইন বানান ভুল করেন,আপনি সাংবাদিক।
যদি মনে করেন,কিছু তো নিজের ভাষায় লিখতে হয় না,ফেসবুকে পাচ্ছি আর ইচ্ছে মত পোস্ট দিচ্ছি শুধু শিখেছি কপির পাশে নিজের নাম ফলোআপ করে স্টাফ বা বিশিষ্ট প্রতিনিধি।
এসবেরও হিসাব কখন যে দিতে হবে গেঁড়াকলে পড়ে তখন বুঝবেন।তথ্যপ্রযুক্তি বা সাইবার আইন কি ও কত প্রকার।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদই দিলাম।। কেনো অন্যের সংবাদ শেয়ার করতে সমস্যা কি? অন্যের সংবাদ কপি করে সেখানে সূত্র অমুক লিখতে ক্ষতি কি? অন্যের সংবাদ থেকে কিছুটা ধারনা নিয়ে নিজের মত করে সংবাদ পরিবেশন করতে কি বা সমস্যা? এখানে বেহায়ার মত হাসতে হাসতে উত্তর আসতে পারে বস আমি তো লিখতেই পারি না, আর সংবাদের ভাষা তো জানিই না,লিখব কি!!!!
আবার এইও দেখেছি একটি মোটরসাইকেলে হরেক রকমের Press কার্ড বা স্টিকার লাগিয়ে পাহাড়ের সমান একটি ক্যামেরা কাঁধে,নিলাম পট্রি থেকে ছয়আনা দিয়ে সাংবাদিকদের রিজেক্ট কটি কিনে গায়ে দিয়ে দাপিয়ে চলছে যেখানে ৬ নাম্বাবী করা যায়। সারাদিন দাপিয়ে ছবি তুলে পরে অন্যের কাছে ধরনা দিয়ে নিউজ বানিয়ে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট বা পত্রিকায় প্রকাশ করছে।
এজন্য দায়ি কে? দায়ি নিম্মমানের পত্রিকার সম্পাদক ও ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে ওঠা অনিবন্ধনকৃত অবৈধ অনলাইন।আরও দায়ী সুশীল সমাজ।যারা এসব কথিত ধান্দাবাজ সাংবাদিক প্রতিহত করতে এগিয়ে আসেনা।
তথাকথিত এসব সাংবাদিকদের রুখতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জনাই।অন্যথায় চরম মাশুল দিতে হবে।। “এক কথায় রুখতে হবে অপ-সাংবাদিকতা বাঁচাতে হবে দেশ””
গোলাম রব্বানী শিপন- যুগ্ন সম্পাদক-মহাস্থান প্রেসক্লাব, বগুড়া।
প্রিয় পাঠক আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর সরাসরি জানাতে ই-মেইল করুন নিম্নের ঠিকানায় jamunaprotidin@gmail.com