নাটোরের সিংড়ায় সুস্বাদু,মচমচে জিলাপী তৈরী করে খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় স্বাবলম্বী হয়েছেন নজরুল নামের এক জিলাপী কারিগর। এই জিলাপী কারগিরের বাড়ি সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের আয়েশ গ্রামে।
সেই ভোর বেলা থেকেই আটা,পানি,চিনি গুলিয়ে চুলায় বসেন নজরুল। জিলাপীর পাশা পাশি তৈরী করেন নেমটি,মদন কটকটি,চানাচুর,বন্দিয়া সহ নানা রকম মুখরোচক খাবার।
তার এই কাজে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। স্থানীয় বিয়াশ,বারুহাস,বড়গ্রাাম হাটে নিজেই খুচরা বিক্রয় করেন। তবে বাড়িতে মচমচে সুস্বাদু জিলাপী পাইকারী নিতে আসেন অনেক ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা
প্রায় ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসায়ের সাথে জড়িত নজরুল। সততা, নিষ্ঠা আর কঠোর পরিশ্রমে জিলাপী কারিগর নজরুল আজ স্বাবলম্বী। মাটির টিনশেড বাড়ি থেকে করেছেন ছাদ ঢালাই পাকা বাড়ি। চার মেয়ের মধ্যে তিন মেয়েকেই বিবাহ দিযেছেন। মাঠে চার বিঘা কিনেছেন ধানী জমি। বাড়িতে আছে একটি দুধাল গাভী সহ চারটি গরু। জিলাপী ব্যবসা করেই সংসারের অভাব ঘুচিয়েছেন নজরুল।
সম্প্রতি নজুরুলের বাড়িতে গিয়ে কথা হলো তার সাথে। নজরুল শুনালো তার পিছন ফেরার গল্প। নজরুল বলেন,আজ থেকে ৩০ বছর আগের কথা। সবে মাত্র বিবাহ করেছি। পরের বাড়িতে কাজ করে যা পাই তা দিয়ে কোন রকম দিন কাটে।
সংসারের অভাব যায় না। এভাবে কিছু দিন কেটে যাওয়া পর একদিন পাশের সোনাপাতিল গ্রামের জালসায় গিয়ে এক জিলাপী ব্যবসায়ীর সাথে পরিচয় হয়। সেখান থেকেইে জিলাপী তৈরী করা শিখি। এর পর বাড়িতে এসে শুরু করি জিলাপী তৈরী। এভাবেই আমার ব্যবসা ও জিলাপীর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। আল্লাহর রহমতে আমি এখন অনেক অনেক সুখি।
প্রিয় পাঠক আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর সরাসরি জানাতে ই-মেইল করুন নিম্নের ঠিকানায় jamunaprotidin@gmail.com