যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সোহাগ হোসেন নামে এক যুবক গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে ভৌ-দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বাগআঁচড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় শার্শা থানায় পৃথক তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানাগেছে, যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী বেলতলা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে সোহাগ হোসেন পেশায় একজন চা বিক্রেতা ছিলেন।হঠাৎ সে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসয়ী ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করুচিপূর্ণ তথ্য পোস্ট করে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে শুরু করেন।
সম্প্রতি সে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সহ বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে মোবাইলে ছবি উঠিয়ে ক্লিনিক মালিকদের জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে।চাঁদা না দিলে তার ফেইসবুকে ঐ সমস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্লিনিকের নামে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা তথ্য পোষ্ট করতেন সোহাগ।
রোববার দুপুরে সে জনসেবা ক্লিনিক ও আল-মদিনা হাসপাতালের মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করেন।চাঁদা না দিলে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান সোহাগ।এসময় ক্লিনিকের আসে পাশের স্থানীয়রা জড়ো হয়ে গণধোলাইয় দেয়।অবস্থা বেগতিক দেখে সুযোগ বুঝে সে ভৌ দৌড় দিয়ে ঘটনাস্থাল ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সোহাগ হোসেন বাগআঁচড়া আব্দুল্লাহ সুইটস এ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খায়।স্থানীয়দের সহায়তায় সে যাত্রায় সে কোন রকম রক্ষা পাই।তাছাড়াও একধিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শার্শা থানায় অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামানের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনার মাধ্যমে বিষয়টা শুনলাম।এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।